খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় আলোচিত যুবদল নেতা এস এম শামীম হত্যাকাণ্ডে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে পুরো জেলায়। তদন্তে বেরিয়ে এসেছে চমকপ্রদ তথ্য। নিহতের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার বৃষ্টি এবং ফুফাতো শ্যালক ওবায়দুল্লাহ হাওলাদার ইমন-ই পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি (১৬৪ ধারা) দিয়েছেন।
ঘটনাপ্রবাহ
গত শুক্রবার রাতে উপজেলার আঠারো মাইল গ্রাম বাজার সংলগ্ন নিজ বাসার তৃতীয় তলায় নৃশংসভাবে জবাই করে হত্যা করা হয় যুবদল নেতা এস এম শামীমকে। শুরু থেকেই স্ত্রী ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে সন্দেহ প্রকাশ করে আসছিল এলাকাবাসী।
পুলিশ তদন্তে নেমে ফাতেমা আক্তার বৃষ্টি ও ইমনকে আটক করে। পরে আদালতে হাজির করা হলে তারা উভয়েই হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি প্রদান করে।
হত্যার পেছনের পরিকল্পনা
তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্য কলহ ও ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছিলেন শামীম ও তার স্ত্রী বৃষ্টি। এ সুযোগে বৃষ্টির সহায়তায় ফুফাতো শ্যালক ইমন শামীমকে হত্যার পরিকল্পনা করে। অবশেষে নির্ধারিত দিনে তৃতীয় তলায় নিয়ে শ্বাসরোধ ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় তাকে।
পুলিশের বক্তব্য
ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, “গ্রেপ্তারকৃত স্ত্রী ও ফুফাতো শ্যালক আদালতে হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত স্বীকার করেছে। এটি ছিল পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। অন্য কোনো সহযোগী জড়িত ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
এলাকায় প্রতিক্রিয়া
এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মানুষ বলছে, “নিজ স্ত্রী ও কাছের আত্মীয়ের হাতে একজন স্বামী-ভাইয়ের প্রাণহানি — এর চেয়ে নির্মম আর কিছু হতে পারে না।”
রাজনৈতিক অঙ্গনে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। দলীয় নেতারা শোক প্রকাশ করে বলেন, শামীম ছিলেন সংগঠনের একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী। তার হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছেন তারা।
Leave a Reply